উখিয়ায় অবাধে ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন

এম.এস রানা, কক্সবাজার জার্নাল •

উখিয়ার হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্ষতিকর পলিথিন।

দীর্ঘদিন উপজেলা প্রশাসনের নির্বিকার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার তদারকি, মাথা ব্যথা না থাকা এবং কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা না করায় ক্ষতিকারক পলিথিনের ব্যবহার দিন দিন আশংকাজনক হারে বৃদ্বি পাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দারোগা বাজার, সদর ষ্টেশন,কোটবাজার, মরিচ্যা বাজার, সোনার পাড়া বাজার, পালং খালী বাজার, বালুখালী বাজার কুতুপালং বাজার সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠা মিনি বাজার হোটেল রেস্তোরা, মাছ-মাংস তরিতরকারি মুদি দোকান সহ প্রতিটি দোকানে মজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত পলিথিন ব্যাগ।

এসব পলিথিন দিয়ে ক্রেতাদের খাদ্যদ্রব্য সহ বিভিন্ন ধরনে মালামাল সরবরাহ করে। এ ছাড়াও জীবন রক্ষাকারি ওষুধের দোকান ফার্মেসীতে রোগীদের অবাধে ওষুধ দেয়া হচ্ছে এ নিষিদ্ব পরিথিনের মাধ্যমে। যার কারণে পরিবেশ মারাত্নক হুমকির পাশাপাশি স্বাস্থ্যহানী ও মারাত্মক রোগাক্রান্তের শিকার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানবসন্তান। এসব নিষিদ্ব ঘোষিক পলিথিনের অধিকাংশই আসে পার্শ্ববর্তি দেশ মায়ানমার থেকে।

এছাড়াও সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী গড়ে তুলেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের কারখানা। এসব কারখানা থেকে লাখ লাখ পলিথিন চলে আসে বাজারে।

তাছাড়াও মায়ানমার থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ পলিথিন চোরাই পথে এসে উখিয়ার হাটবাজার সয়লাব হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন মাথাব্যথা নেই।

উপজেলায় রয়েছে ৪/৫ জনের একটি সক্রিয় পলিথিন চোরাচালানের সিন্ডিকেট, তারা সীমান্তে বিভিন্ন পযেন্ট ব্যবহার করে সীমান্ত রক্ষীদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে দেশে মজুদ করে রাখে এবং কৌশলে পৌছে দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে। ফলে সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ছে দেশ ও পরিবেশের মারাত্নক ক্ষতিকারক নিষিদ্ব পলিথিন।

দেশীয় পাটের তৈরি শপিং ব্যাগ ব্যবহারে মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করার পাশাপাশি দেশ ও জাতীর সার্থে অভিযান পরিচালনা পুর্বক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের অবাধ বিচরন, আগ্রাসন বন্ধ এবং অবৈধ পলিথিন কারখানার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া অতি জরুরী বলে মনে করেন পরিবেশবাদি সচেতন মহল।